রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

এক শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮৫ সময় দর্শন

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উত্তর ছোট চরকাজল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে একজন ছাড়া কর্মরত কোন শিক্ষক নেই।

বিদ্যালটি শিক্ষকবিহীন হয়ে চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিদ্যালয়টি এখন কোনমতে একজন ডেপুটেশনকৃত প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যা অভিভাবকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, উত্তর ছোট চরকাজল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে বেসরকারী হিসেবে চললেও ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করেন।

এখন বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীতে ১৩ জন , প্রথম শ্রেণীতে ১২ জন , দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১১ জন , তৃতীয় শ্রেণীতে ১৯ জন , চতুর্থ শ্রেণীতে ১২জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ১৫ জনসহ সর্বমোট ৮২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম মিয়া মৃত্যুজনিত কারনে পদটি শূন্য হয়। সহকারী শিক্ষক খাদিজা বেগম ও ইদ্রিস হাওলাদার অবসরে গেলে দুটি পদ শূন্য হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে কর্মরত শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ শীল (চলতি দায়িত্ব ) ২০২২ সালের ১৫ মার্চ উত্তর ছোট চরকাজল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। একাই বিদ্যালয়টির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসে কোন ধরনের অফিসিয়ালী কার্যক্রম থাকলে বিদ্যালয়টি ওইদিন পাঠদান বন্ধ থাকে। বিদ্যালয়টি দুই শিফটে চলে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম শিফটে প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের একই রুমে বসিয়ে পাঠদান করা হয়।

আবার দ্বিতীয় শিফটেও ৩য় , ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের একই রুমে বসিয়ে পাঠদান করেন একমাত্র শিক্ষক। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ফলপ্রসু হয় না। তার একার পক্ষে এত কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ভুক্তভোগী শিক্ষক আরো জানান, তিনি ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল অবসরে যাবেন। এর পর স্কুলের ভাগ্যে কি ঘটবে তা তার জানা নেই।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাব্বির আহমেদ নোবেল জানান, ছাত্র ছাত্রীদের এহেন পরিস্থিতি দূর করতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ অতিব জরুরী । গলাচিপা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি জাতীয়করন হলেও শিক্ষকগন সরকারী হননি। তাই শূন্য পদ গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয় অবগত আছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক জটিলতা দূর হলেই নতুন নিয়োগে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71